২৩ বছর

27-05-1999

৫ ফুট ২ ইঞ্চি

উজ্জল শ্যামলা

স্বাভাবিক

৬০

বি+

না, اَلْحَمْدُ لِلَّه

আলহামদুলিল্লাহ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।

নামজ বাসায় পড়া হয়

না। আমি তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য চেষ্টা করতেছি।

হ্যা, আলহামদুলিল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়

জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। সলাত, তাসবিহ, দরুদ।

না। এসব দেখা হয় না। আলহামদুলিল্লাহ।

নেই। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

اَلْحَمْدُ لِلَّه প্রত্যহ ফরজ ইবাদত করা হয়, ইসলামিক বই পড়ি, সাধ্যমতো হাদিস পড়ি, ওয়াজ বা ইসলামিক স্কলারদের আলোচনা+কুর'আন তিলাওয়াত শুনি, প্রত্যহ কুর'আন তিলাওয়াত করা হয়, মাঝেমধ্যে কুর'আনের অনুবাদ পড়া হয় ও তদানুসারে আমল করা চেষ্টা করা হয়। পর্দা বজায় রেখে ছোট বোনদেরকে এবং প্রতিবেশী মা-বোনদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করি ও উৎসাহিত করি etc. আমার পছন্দের ৩টি বই: আল-কুর'আন, Ink of inspiration, বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ ﷺ . আমার পছন্দের লেখক: Naadira Chhipa, আরিফ আজাদ। আমার পছন্দের আলোচক: আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, মাওলানা তারিক্ব জামিল, ওমর সুলাইমান, জামশেদ মজুমদার, মিজানুর রহমান আজহারী, খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মাহমুদ বিন কাসিম।

১. আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, ২. শায়েখ আহমাদুল্লাহ, ৩. মাহমুদ বিন কাসিম

নির্দিষ্ট কোনো মাযহাব নেই। কুর'আন-সুন্নাহ মোতাবেক চলার চেষ্টা করছি। আমার মনে হয় এইটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।

আমি বোরকার সাথে হিযাব নিকাব ও হাত-পা মোজা পরিধান করি।

জি। আলহামদুলিল্লাহ

জ্বী, اَلْحَمْدُ لِله সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়।

সাধারণ শিক্ষা

বর্তমানে কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ডিগ্রি ৩য় বা চূড়ান্ত বর্ষে অধ্যয়নরত।(তবে মাদ্রাসায় বা দ্বীনি প্লাটফর্মে পড়াশুনো করার ভীষণ ইচ্ছে আছে ইংশা-আল্লাহ। তবে এই সহশিক্ষায় একদম আগ্রহী নই। পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে এই পর্যন্ত এসেছি।)

না, اَلْحَمْدُ لِله

প্রবাসী

গৃহিণী

বোন নাই

১ জন

নিম্ন মধ্যবিত্ত

ডিভোর্সের কারণ— ডিভোর্সের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তারমধ্যে কয়েকটি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো— ১. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা চাননি। ২. তিনি রাসূলﷺ এর কটুক্তিকারী ছিলেন, এককথায় শাতিমে রাসূল। তিনি রাসূলﷺ কে নিয়ে নূপুর শর্মা থেকেও বাজে মন্তব্য করেছেন। তিনি জান্নাতের হূরদের নিয়ে ব্যঙ্গ করতেন। বুখারী শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। ৩. স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর পরিবারকে ভরা মজলিসে অসম্মান করতেন এবং প্রত্যেক কদমে দোষ ধরতেন। ৪. স্ত্রীকে পর্দা করতে দিতে একদম'ই রাজি নন এবং স্ত্রীকে বন্ধুদের সাথে উপস্থাপন করতে চাইতেন। ৫. চারিত্রিক সমস্যা। ৬. স্ত্রীকে মূল্য দিতেন না এবং স্ত্রী হক্ব আদায় আদায়ে উদাসীন বা নারাজ ছিলেন। ৭. এক পর্যায়ে জানা যায় যে, তিনি তার তালাক দেওয়া পূর্বের স্ত্রীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমায় বিয়ে করেছিলেন৷তার প্রমাণও আছে। ৮. ওনারা পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য হারাম সম্পর্কে এবং কুফুরীতে লিপ্ত ছিলেন। ওনার বোন কুফুরির মাধ্যমে সবসময়'ই ওনার সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ করার চেষ্টায় থাকতেন। ৯. তিনি ঠিকমতো স্ত্রীর খরচ বহন করতেন না, ঠিকমতো খাবার দিতেও নারাজ ছিলেন। ১০. বোনের কথামতো স্ত্রীকে চালাতেন এবং শারিরীক-মানসিক নির্যাতন করতেন। উপরাক্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর জন্য বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমার কোনো সন্তান দান করেন নি। পুনরায় বিবাহের কারণ হলো— আখিরুজ্জামানের ভয়াবহ ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য এবং দ্বীনকে পরিপূর্ণ করার জন্য বিয়ে করাটা উত্তম। এছাড়াও একজন প্রকৃত দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পেলে দ্বীনকে পরিপূর্ণরূপে আঁকড়ে ধরতে তিনি সাহায্য করবেন দ্বীন পালনে অধিক সুবিধে হবে ইংশা-আল্লাহ। এছাড়াও মনের শান্তির জন্য একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও রাসূলﷺ এর হাদিস অনুযায়ী আখিরুজ্জামানে ভয়ংকর ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য পাহাড়ের উঁচু স্থানে কিংবা পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে কৃষিভিত্তিক জীবন-যাপন করতে ভীষণ ইচ্ছুক আমি। আর এটি একা একা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সেজন্য হলেও একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী ভীষণ প্রয়োজন। যিনি আখিরুজ্জামান সম্পর্কে এবং কুফফারদের যড়যন্ত্র সম্পর্কে খুব ভাল জ্ঞান রাখেন এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন ইংশা-আল্লাহ। আর এটাই বিয়ের করার মূল কারণ।

দৈনিক ফরজ আদায় করি, মাঝেমাঝে নফল আমল করি। ইসলামিক বই পড়ি, আমার বিড়ালদের যত্ন নেই এবং সুযোগ পেলে ওদের সাথে সময় কাটাই, আশেপাশের মা-বোনদের দ্বীনের দাওয়াত দেই। যখন যে হাদিস পড়ি, তা তাদেরকেও পড়ে শোনাই। নিজের ঘর গুছাই। সুযোগ পেলেই রবের কাছে সবার জন্য দু'আ করি, আকাশের দিকে তাকিয়ে রবের সাথে কথা বলি, নিজের অভিযোগ-অনুযোগগুলো জানাই। মা এবং ছোট ভাইয়ের সাথে গল্প করি এবং ওকে বিভিন্ন সূরা শেখাই, হাদিস পড়ে শোনাই, নতুন কোনো আদব বা ভদ্রতা শেখাই, ওর সাথে দুষ্টুমি করি। দ্বীনি বোনদের সাথে দ্বীন নিয়ে আলোচনা করি। দাজ্জালের নতুন নতুন ভয়াবহ ফিতনা ও কুফফারদের চক্রান্ত সম্পর্কে আরও বেশি জানার চেষ্টা করি এবং অন্যদেরকেও জানানোর চেষ্টা করি ইত্যাদি, আগামী দিনগুলোর জন্য কি কি প্রস্তুতি গ্রহন করা উচিৎ, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করি ইত্যাদি। বর্তমানে আমাদের দেশ এখন তাগুতের আয়ত্তে চলে গেছে। তাই আমার ভীষণ প্রিয় দেশ ইমারতে ইসলামিয়া(আফগানিস্তান) চলে যাওয়ার প্ল্যান করছি বা এ ব্যাপারে সিরিয়াসলি ভাবছি খুব করে। কারণ, আমি খিলাফা কায়েম হওয়া দেশে, অর্থাৎ যেখানে শুধুমাত্র আল্লাহর আইন চলে, সেই দ্বীনি পরিবেশে থাকতে চাই। একই সাথে সুযোগ পেলে (গাজওয়াতুল হিন্দ)জিহাদের প্রস্তুতিও গ্রহন করবো ইংশা-আল্লাহ।

কুর'আন অর্থসহ তিলাওয়াত করা, সীরাত পড়া, ওয়াজ বা ইসলামিক আলোচনা শোনা, বিড়াল লালন-পালন করা, রাস্তার প্রাণীদের সাহায্য করা, মিউজিক ফ্রী নাশীদ শোনা, ইসলামিক বই পড়া, সবার জন্য এবং নিজের জন্য বেশি বেশি দু'আ করা, গাছ লাগানো বা বাগান করা, দ্বীনি বোনদের সাথে দ্বীন নিয়ে আলোচনা করা, ঘর গুছানো, পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া, ইমারতে ইসলামিয়ায়(আফগান) ভ্রমণ করা বা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা, আকাশের দিকে তাকিয়ে রবের সাথে ইচ্ছেমতো কথা বলা, অসহায়দের সাহায্য করা ইত্যাদি।

সেক্যুলার বা মডারেট নয়। একজন প্রকৃত দ্বীনদার। যিনি মাযহাব/মানহায/আকীদা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেন না। অর্থাৎ, যিনি কুর'আন-সুন্নাহ মোতাবেক চলেন। দ্বীনের ব্যাপারে অধিক কঠোরতা, ফরয পালনকারী, হারাম-বিদ'আত-শির্ক এর ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান আছে এমন এবং এই ব্যাপারে ভীষণ কঠোর। হারামকে হারাম এবং হালালকে হালাল হিসেবে ভীষণভাবে স্বীকার করেন এবং দৈনন্দিন কাজেও তা মেনে চলেন। এই সাথে আখিরুজ্জামান গবেষক, মুজাহিদ হলে তো ثُمَّ اَلْحَمْدُ لِله. এবং রবের পক্ষ থেকে তা আমার জন্য সর্বোত্তম পুরষ্কার হবে ইংশা-আল্লাহ।

২৮-৩০ বছর

৫'৬" – ৫'৮"

শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা

অবিবাহিত, বিপত্নিক

নূন্যতম যতটুকু শিক্ষা থাকলে বিদ'আত-হারাম-শির্ক থেকে বেঁচে থেকে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে এবং পশ্চিমা ইহুদি অর্থাৎ আখিরুজ্জামানে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচা যাবে এবং কুফফারদের যড়যন্ত্র বা চক্রান্ত বুঝবে, তাদের রাজনৈতিক মারপ্যাচ বুঝবে এবং সেই অনুযায়ী সতর্ক হতে পারবেন, পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আর সেই সাথে সহশিক্ষা থাকলেও সমস্যা নেই।

নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই(তবে ব্যাংকে চাকরি করা একদম'ই অপছন্দনীয়, হোক তা ইসলামি ব্যাংক)। তবে হালাল রোজগার হওয়া অধিক জরুরী!

হালাল রোজগার করে নিজের পরিবারকে দু'বেলা দুমুঠো খাইয়ে, পরিবারের অতি প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে সসম্মানে কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য থাকলেই اَلْحَمْدُ لِله. আর একইসাথে সাধ্যমতো অসহায়দের সাহায্য করতে পারলে তো ثُمَّ اَلْحَمْدُ.

দ্বীনদার পরিবার হলে আমার জন্য ভীষণ উপকার হবে। পরিবারের প্রত্যেকে নন-মাহরাম মেইনটেইন করে চলে, প্রত্যেকের হালাল রোজগার এবং পরিবারে নারীদের পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করার উত্তম ব্যবস্থা করা আছে এমন পরিবার হলে ,তা রবের পক্ষ থেকে আমার জন্য উত্তম নিয়ামত হবে ইংশা-আল্লাহ।

নির্দিষ্ট কোনো মাযহাব নেই। কুর'আন-সুন্নাহ মোতাবেক চলাই যথেষ্ট বা উত্তম বলে মনে করি এবং খুব পছন্দ। অত মাযহাব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক বা দলাদলি একদম'ই অপছন্দনীয়। (তবে হারাম, বিদ'আত, শির্ক, কুফুরী ইত্যাদির ব্যাপারে জ্ঞান থাকা এবং কঠোরভাবে মেনে চলা আবশ্যক)

প্রকৃত দ্বীনদার, গায়রত সম্পন্ন, স্ত্রীর পরিপূর্ণ পর্দা নিশ্চিত করতে হবে বা পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে, বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোক বা আত্মীয়স্বজনদের সাথেও স্ত্রীর পর্দা নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবেনা, অন্তত ১ মুষ্টি দাঁড়ি আছে, টাখনুর উপর প্যান্ট পরেন, (গাজওয়াতুল হিন্দ)জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহনকারী, দ্বীন পালনের প্রতি অধিক কঠোর, ন্যায়বিচারকারী(অর্থাৎ ৩য় ব্যক্তি বা কারো কথায় নয়, বরং নিজ বুদ্ধিতে স্ত্রীকে পরিচালনা করবেন এমন), আখিরুজ্জামানের গবেষক। যেহেতু দেশ এখন তাগুতের আয়ত্তে, তাই ইমারতে ইসলামিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে অতি উত্তম হবে আমার জন্য। কারণ, আমি নিজেও যাওয়ার পরিকল্পনা করছি সিরিয়াসভাবে। পাহাড়ে বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থাকার মন-মানষিকতা থাকতে হবে। (আর একই সাথে সত্য এবং মনোযোগী স্রোতা, নম্র, ভদ্র, সৎ, চরিত্রবান, অন্যকে সম্মান করে এমন, কোমল হৃদয়ের, ক্রোধহীন, সহজ-সরল, পরোপকারী, বিড়ালপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী, প্রকৃতি বা গাছপ্রেমী, বই পড়তে পছন্দ করে, রোম্যান্টিক, পরিবারকে গুরুত্ব দেয় এবং সময় দিতে পারে, ইমোশনের গুরুত্ব দেয়, কেয়ারিং, মিষ্টভাষী, বিপদে স্ত্রীর পাশে থাকা, একসাথে দুজন বৃদ্ধ হওয়ার চিন্তা করে, এমন হলে আমার জন্য উত্তম হবে ইংশা-আল্লাহ!)

কুমিল্লা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, উত্তরবঙ্গ। (অপছন্দনীয় জেলা: লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।)

১. দ্বীনদারিত্ব, ২. সৌন্দর্য, ৩. সম্পদ, ৪ সামাজিক অবস্থান

কুমিল্লা

কুমিল্লা

কুমিল্লা

চাঁদপুর (তবে ৭ম শ্রেণী থেকে এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় বসবাস করা হচ্ছে। আর ভবিষ্যত তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ভাল জানেন।)