জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন : | "রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিয়ের ক্ষেত্রে ৪ টি বিষয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। যথাঃ ১)সৌন্দর্য ২)বংশমর্যাদা ৩)অর্থ – সম্পদ এবং ৪) দ্বীনদারিত্ব এগুলোর মধ্যে দ্বীনদারিত্ব কে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই জীবনসঙ্গী নির্বাচনে এই ৪ টি বিষয়কে আমি অধিক গুরুত্ব দেব ইন শা আল্লাহ। সেই সঙ্গে "কুফু" বা সামঞ্জস্যতার দিকে আমি অত্যধিক গুরুত্ব দেব ইন শা আল্লাহ। ৫ ওয়াক্ত নামাজি, পর্দাশীল ( নন মাহরামকে দেখে যে দৃষ্টি নত করে), আল্লাহভীরু, সত্যবাদী, কর্মঠ, অল্পতেই খুশি, মিতব্যয়ী, কান্নাওয়ালা চক্ষু, চক্ষুশীতলকারী এবং উত্তম আখলাকের অধিকারী হতে হবে।বদমেজাজি হওয়া যাবে না। ঠান্ডা মেজাজের অধিকারী হতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ফরজ এবং সুন্নাহকে প্রাধান্য দিবে। ধৈর্য্যশীল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হবে। প্রতিটা ব্যক্তিকে সম্মান করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমার ভুল এবং নির্বুদ্ধিতায় রেগে না গিয়ে ঠান্ডাভাবে আমাকে বিষয়গুলো বোঝাতে হবে। যৌতুক লোভী হওয়া যাবে না। ইসলামে যৌতুক দেওয়া – নেওয়া সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই আমার পরিবারের কাছে কখনও যৌতুক দাবি করা যাবে না। আমি এমন একজন উওম জীবনসঙ্গী চাই যিনি আমার সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজের সঙ্গী হবেন। যাকে দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হবে আমার। ইন শা আল্লাহ আমার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করার ইচ্ছা আছে এবং ২ জন একসঙ্গে পবিত্র হজ্জ্ব করার ইচ্ছা আছে। আমার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীকে অবশ্যই অধূমপায়ী এবং নন – এলকোহলিক হতে হবে ইন শা আল্লাহ। Netflix বা নাটক বা গান বা সিনেমা বা মুভিপাগল বা টিভিপাগল বা অনৈসলামিক কাজে আসক্ত ছেলেরা আমার একদমই পছন্দ নয়। অনুগ্রহপূর্বক তারা দূরে থাকবেন। ** ইন শা আল্লাহ জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন ব্যক্তি পছন্দ যিনি প্রয়োজন ছাড়া নন-মাহরাম মেয়েদের সাথে একদমই কথা বলবেন না। হাস্যরস তো দূরের কথা।** অবশ্যই সুন্নাহ মোতাবেক দাঁড়ি থাকতে হবে এবং সর্বাবস্থায় টাকনুর উপর কাপড় পড়তে হবে। এমন একজন মানুষ চাই যার চিন্তা-ভাবনা আখিরাতমুখী হবে। *******আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে এত বছর কখনও প্রেম নামক হারাম রিলেশনে জড়ায়নি। তাই আমি আল্লাহর কাছে এমন একজন উওম জীবনসঙ্গী চাই যিনি আমার মতো পূর্বে কখনও কোনো হারাম রিলেশনে জড়াননি বা এখনও এগুলোতে involved নেই। যিনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে এই হারাম সম্পর্ককে পরিহার করে হালাল সম্পর্ক তথা বিয়ের জন্য অপেক্ষা করেছেন। Future Life - Partner এর জন্য ভালোবাসা আমানত হিসেবে রেখেছেন। ❌❌❌❌ তাই যাদের এমন হারাম Relationship এর matter ছিল বা আছে, তারা অনুগ্রহপূর্বক Knock করবেন না, কোনভাবে Communicate করার চেষ্টা করবেন না। তাদের জন্য এই বায়োডাটাটি নয় ইন শা আল্লাহ। সর্বদ্রষ্টা আল্লাহ সুবহানুতায়ালা সাক্ষী আছেন এই ব্যাপারে। সুতরাং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বা হারাম Relationship নিয়ে যোকোনরকম তথ্য গোপন করে যোগাযোগ করলে পরিণতি ভালো হবেনা ইন শা আল্লাহ। ❌❌❌❌ এই বিষয়টিকে অহংকার বা দাম্ভিকতা বলে না। কারণ যে ছেলেটা/মেয়েটা হারাম Relationship এর ভয়াবহ হাতছানি সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে নিজেকে সংযত রাখে,সেও একজন উওম চরিত্রবান Life-Partner Deserve করে। সাম্য, কল্যাণ ও শান্তির ধর্ম "ইসলাম" Life-Partner choose করার ক্ষেত্রে আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। পবিত্র কুরআন মাজিদে বলা হয়েছে, 💖💖"তোমরা যিনা - ব্যাভিচারের ধারে-কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল ও মন্দকাজ।"💖💖 _ সূরা : বনি ইসরাইল -৩২। পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে, 💞💞"নিশ্চয়ই সচ্চরিত্র পুরুষ, সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। আর দুশ্চরিত্র পুরুষ, দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য। 💞💞 বয়জ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে শোনা অভিজ্ঞতা এবং চারপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমি বুঝতে পেরেছি যেসব ছেলেরা Relation করে/করেছিল /যাদের অতীত আছে তাদের যদি সেই মেয়েটা/মেয়েদের(যে/যাদের সঙ্গে তার Relationship ছিল) তার সঙ্গে বিয়ে না হয় ,তাহলে আজীবন তাদের Heart Broken থাকে। তারা কখনো তার ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলতে পারে না। ফলশ্রুতিতে যদি তারা কোন নিষ্পাপ মেয়েকে (যাঁর অতীত নেই) বিয়ে করে,তখন সেই মেয়েটার জীবনটা তছনছ হয়ে যায়। এই আধুনিক জীবনে Marital Life এ এত বিপুল অশান্তি, দাম্পত্য কলহ এবং Divorce এর প্রধান কারণই হচ্ছে অতীত বা বর্তমানের হারাম Relationship এবং পরকীয়া। আর মনে এক /একাধিক বেগানা মেয়েকে স্থান দিয়ে,ফ্রেশ মনের অন্য কোন ভাল মেয়েকে বিয়ে করে এমন অবিচার - জুলুম করার Permission আল্লাহ সুবহানুতায়ালা দেননি। বিয়ে কোন ফ্যান্টাসি নয়। এটা সারাজীবনের ব্যাপার। যার ব্যাপ্তি দুনিয়া থেকে আখিরাত পর্যন্ত বিস্তৃত। ফিতনার এই জামানায় অনেকে বলে থাকে মেয়েরা খারাপ। হ্যাঁ মেয়েরা খারাপ আছেই,তবে ছেলেরাও খারাপ। কারণ উভয়পক্ষ ই খারাপ না হলে হারাম Relationship, Adultery মত এত জঘন্য পাপ সমাজে বিস্তার লাভ করত না। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি আশাবাদী, আল্লাহ সুবহানুতায়ালার উপর আমার এই বিশ্বাস আছে যে এই প্রবল ফিতনাময় কঠিন যুগে হযরত মারিয়াম (আ.),উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.)আনহার মত উত্তম চরিত্রবান মেয়ে যেমন আছেন (সংখ্যায় কম হলেও),তেমনি হযরত ইউসুফ (আ.) এর মতন পূতপবিত্র,নিষ্কলুষ,সচ্চরিত্রবান ছেলেও আছেন (সেটা সংখ্যায় এক জন হলেও), যাঁরা অনবরত সংগ্রাম করছেন নিজেদের নফসের বিরুদ্ধে । আমি ইন শা আল্লাহ আমার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর জীবনে প্রথম নারী হতে চাই। যিনি কখন ও সুযোগের অপব্যবহার করেননি। যার জীবন নামক Dictionary তে কখনো Girlfriend/ Girl Best Friend/Girl Just Friend নামক কেউ ছিল না। যিনি সবসময় হযরত ইউসুফ (আ.) এর মত নিজেকে সর্বপ্রকার হারাম থেকে বিরত রেখেছেন। ইন শা আল্লাহ যিনি আমাকে উত্তম চরিত্র Gift হিসেবে দেবেন। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল একজন মানবিক ডাক্তার হওয়া। কিন্তু আল্লাহ চাননি বলেই আজকে আমি Medical Student না হয়ে Versity Student। আল্লাহর সিদ্ধান্তই উত্তম সিদ্ধান্ত। তবে যেহেতু আমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাই জীবনসঙ্গী হিসেবে ডাক্তার ছেলেরা প্রাধান পাবেন। ডাক্তার ছাড়াও ইন্জিনিয়ার, শিক্ষক বা অন্য হালাল সম্মানজনক পেশার ছেলে হলেও আমার আপত্তি নাই। তবে ব্যাংকার ছেলে আমার পছন্দ নয়।কারণ ব্যাংকে চাকরি করলে অবশ্যই সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে হবে। আর সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অভিশাপ। ব্যাংকার ছেলে ছাড়াও উকিল ছেলে আমার পছন্দ নয়। খুলনায় বাড়ি থাকার কারণে আমার পরিবার খুলনায় থাকে। তাই জীবনসঙ্গী নির্বাচনে খুলনা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার ছেলেরা প্রাধান্য পাবেন। **তাছাড় আহলে হাদিস মতাদর্শের কাউকে যোগাযোগ না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। 🌺🌺আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা মহাজ্ঞানী। তাই যে পেশার বা যার সঙ্গে বিয়ে হওয়া আমার দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য কল্যাণকর হবে তিনি সেই সর্বোত্তম ব্যবস্থা করুন। সূরা আল ফুরকানের -৭৪ নম্বর আয়াতের মতো উত্তম জীবনসঙ্গী আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আমাকে মিলিয়ে দিন। আমিন।🌺🌺।হিসনুল মুসলিম দোআ: [১৮৬] নয়ন প্রীতিকর স্ত্রী ও সন্তানাদি লাভের দোয়া [২৫:৭৪] رَبَّنَا هَبۡ لَـنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعۡيُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِيۡنَ اِمَامًا হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন রব্বানা-হাব্লানা-মিন্ আয্ওয়া-জ্বিনা-অ র্যুরিয়্যা-তিনা-কুররাতা আ’ইয়ুনিঁও অজ্ব্‘আল্না-লিল্মুত্তাকীনা ইমা-মা-। দোয়ার প্রেক্ষাপট: প্রকৃত ঈমানদার ও জান্নাত আকাঙ্খীরা তাদের দুনিয়ার পারিবারিক জীবন সুন্দর করতে এবং আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে দুনিয়ার জীবনে যথাযথভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আল্লাহর দরবারে এরূপ দু'আ প্রার্থনা করে। সূরা আল-ফুরকান - ২৫:৭৪ দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) অ্যাপটি পেতেঃ https://gtaf.org/apps/hisnulbn #GreentechApps |