নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়? | আলহামদুলিল্লাহ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। |
জামাতে কয় ওয়াক্ত? | পাঁচ ওয়াক্ত |
দাড়ি প্রসঙ্গ : | আলহামদুলিল্লাহ সুন্নাহ অনুযায়ী এক মুষ্টি দাঁড়ি রেখেছি। |
আপনি কি বিয়ের পরে স্ত্রীকে দিয়ে চাকুরি করাতে ইচ্ছুক? | জ্বি। না। |
আপনি কি বিয়ের পরে, আপনার স্ত্রীকে হিযাব নিকাব ও গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে পরিপূর্ণ পর্দার সহিত জীবন পরিচালিত করাতে আগ্রহী? | অবশ্যই। ইন শা আল্লাহ। |
কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ? | জি। আলহামদুলিল্লাহ আমি তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি। |
আপনি কি গায়রে মাহরাম মেনে চলেন? | হ্যা, আলহামদুলিল্লাহ মেনে চলা হয়। |
আপনার পরিবারে গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে পরিপূর্ণ পর্দার সহিত চলার ব্যবস্থা আছে? | নেই। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। |
নিজের দ্বীনি কাযক্রম সম্পর্কে লিখুন : | বাবা, মা ছোট থেকে তারা যতটুকু ইসলাম জানতেন বা মানতেন সে অনুযায়ী আমাকেও চালাতে চেষ্টা করেছেন। আব্বু আম্মু দুজনই আমায় ছোট বেলায় মাদ্রাসায় পড়াতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখন খুব জেদ করতাম যে, না আমি মাদ্রাসায় পড়বো না। এভাবে করে করেই আর মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়া হয়নি। কিন্তু এখন বুঝি মাদ্রাসায় ভর্তি না হয়ে কি ভূল টাই না করেছি। বালেগ হওয়ার পর বিভিন্ন ইসলামিক অকেশনে নামাজ কালাম পড়া হতো। আব্বু আম্মু নামাজের জন্য নিয়মিত বলতেন। কিন্তু আমার গাফিলতায় নামাজ পড়া হতো না। তবে ক্লাস ৬ এ যখন পড়ি তখন থেকেই সম্পূর্ণ মাস ফরজ রোজা রাখা হতো। ২০১৩ সালে এস.এস.সি পরিক্ষা দিলাম, ২০১৪ তে পলিটেকনিক এ ভর্তি হলাম তখনও নামাজ কালামে নিয়মিত হতে পারিনি। পলিটেকনিক এ ভর্তির পর থেকেই আস্তে আস্তে আমার শারীরিক অবনতি শুরু হতে থাকে যেই রোগটির ব্যপারে আমি উল্লেখ করেছি। তখন থেকেই মনের মধ্যে আল্লাহর প্রতি ভয় জন্মাতে থাকে যে, আমি ভালো ছিলাম, সুস্থ ছিলাম সেখানে থেকে কি হয়ে গেলাম। আল্লাহ চাইলে কোথা থেকে কি করে ফেলতে পারে। তখন থেকে আস্তে আস্তে আল্লাহর দ্বীনের দিকে ধাবিত হতে থাকি। আল্লাহর আনুগত্যের দিকে মন আকৃষ্ট হতে থাকে। ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত নামাজ কালাম ও নফল রোজা, নফল আমল করা শুরু করলাম। ২০১৮ সালে পলিটেকনিক থেকে পাস করে বের হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সুন্নাত সম্পর্কে ইলমে দ্বীন অর্জন করে সেগুলো পালন করা শুরু করলাম। বিশেষ করে পোশাক পরিচ্ছদের সুন্নাত কি জেনে তখন থেকে ঢিলা ঢালা পাঞ্জাবি, পাগড়ী ইত্যাদি আমার নিয়মিত পোষাক পরিচ্ছেদে পরিণত হয়। কিন্তু এভাবে ইলমে দ্বীন শিখে উঠতে নানান প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হচ্ছিল। একটা ট্র্যাক ধরে ইলমে দ্বীন শিখে শিখে আস্তে আস্তে আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) এর আনুগত্যের দিকে আগানোর মতো কোনো ট্র্যাক পাচ্ছিলাম না। প্রায়ই আম্মু টিভিতে ইসলামিক অনুষ্ঠানগুলো দেখতেন, তিনি একদিন আমাকে একটা টিভি চ্যানেলের কথা বললেন যেটির নাম মাদানী চ্যানেল বাংলা যা দাওয়াতে ইসলামি কর্তৃক পরিচালিত হয়। এখানে নাকি ঘরে বসেই ইলমে দ্বীন শিখা যায়। আস্তে আস্তে দেখা শুরু করলাম এবং যেই ট্র্যাকটা খোজ করছিলাম সেটি মিলে যাওয়ায় আল্লাহর শুক্রিয়া জ্ঞাপন করি। মাদানী চ্যানেল থেকে দেখতে পেলাম দাওয়াতে ইসলামির মাদানি মার্কাজ ফায়জানে মদিনায় সাপ্তাহিক সুন্নতে ভরা ইজতিমা হয়, যেটি মাদানী চ্যানেলে লাইভ টেলিকাস্ট হয়। তো একদিন ইচ্ছা জাগলো মাদানী মার্কাজে যেয়ে মুবাল্লিগদের সরাসরি বক্তব্য শুনবো এবং তাদের সহবত নিবো। একদিন বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অংশগ্রহণ করি। সেখানে মুবাল্লিগ গণ আমাকে মুহাব্বত দিয়ে আগলে নেন এবং আমার জানার আগ্রহ দেখে আমাকে তাদের দ্বীনি কাজে অংশ নিয়ে নিজে ইলমে দ্বীন শিখে অপরকে শিখানোর জন্যও যেন কাজ করি। আলহামদুলিল্লাহ উনাদের সেদিনের মুহাব্বাত আমাকে আল্লাহ ও তার রাসূলের (ﷺ) আনুগত্যের প্রতি অগাধ আগ্রহ জন্মেছিলো। আস্তে আস্তে দাওয়াতে ইসলামির সাথে সময় দিয়ে দিয়ে ইলমে দ্বীন শিখা শুরু করি এবং অপরকেও নেকির দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি। ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময়কে কাজে লাগিয়ে দাওয়াতে ইসলামি কর্তৃক (ফ্রি অব কস্ট) ৬৩ দিনের ইলমে দ্বীনের কোর্স করতে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে যাই। সেখানে গিয়ে আলহামদুলিল্লাহ দ্বীনের উপর চলার জন্য নূন্যতম যা যা জানা জরুরী তার সবই শিখে ফেলতে পারি। এরপর থেকে আস্তে আস্তে দাওয়াতে ইসলামির স্লোগান অনুযায়ী (আমাকে নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে ইংশাআল্লাহ) নিজেকে পরিচালিত করতে থাকি এবং দাওয়াতে ইসলামির দ্বীনি কাজে সময় দেওয়া অব্যহত রাখি। দাওয়াতে ইসলামির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদিনা থেকে প্রকাশিত সকল বই আমার পছন্দের তালিকায় নিয়মিত থাকে। সেখান থেকে পছন্দের বইগুলোর মধ্যে অন্যতম বইগুলো হচ্ছে - নামাজের আহকাম(হানাফি), ফায়জানে সুন্নাত, ফায়জানে নামাজ, ফায়জানে রোজা, মাদানী পাঞ্জে সূরা ইত্যাদি। পছন্দের আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন দাওয়াতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা আমিরে আহলে সুন্নাত আল্লামা আবু বিলাল মুহাম্মাদ ইলিয়াস আত্তার কাদেরী (দা:বা) অন্যতম, এছাড়াও দাওয়াতে ইসলামির রুকনে শুরা মাওলানা ইমরান আত্তারী, মাওলানা আব্দুল হাবিব আত্তারি ইনাদের আলোচনা শুনতে পছন্দ করি। এছাড়াও দাওয়াতে ইসলামির সকল রুকনে শুরা গণের আলোচনা, সকল মুবাল্লিগগণের আলোচনা শুনতে পছন্দ করি। এছাড়াও আল্লামা সাকিব ইকবার শামী, শায়খ আসরার রশিদ(যিনি খ্রিষ্টানদের চ্যালেজ একসেপ্ট করে নবীজির হাদিস সত্য প্রমান করার জন্য সকলের সামনে উচ্চ মাত্রার বিষ পান করেছিলেন), আল্লামা এহসান কাদেরী ইনাদের আলোচনা আমার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। |
নফল আমল এর আমাল করা হয়? | সওম, সালাত, দুরুদ পাঠ, তাসবিহ, সাপ্তাহিক দ্বীনি রিসালা পাঠ |
পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম | আবু বিলাল মুহাম্মাদ ইলিয়াস আত্তার কাদেরী (দা: বা:), মাওলানা ইমরান আত্তারী (দা: বা:), মাওলানা আব্দুল হাবিব আত্তারী (দা: বা:), আব্দুল মুস্তফা আযহারী (দা: বা:) |
আক্বিদা /মাজহাব /মানহাজ | আমি আক্বিদায়ে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ, হানাফি মাজহাব বা ফিকহ অনুসরণ করি, তারিকায়ে কাদেরীয়া (শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) এর বায়াত গ্রহণ করেছি), ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা, হাফিজ, ক্বারী শাহ ইমাম আহমেদ রেজা (রহ:) এর কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী দেখানো পথকে অনুসরণ করছি। এছাড়া চার ফিকহ্ বা মাজহাব এর সকল ইমামকে সম্মান করি এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত এর আক্বিদার বহির্ভূতদের অপছন্দ করি এবং তাদের আলোচনাকে ইগনোর করি। |