নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়? | আলহামদুলিল্লাহ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। |
জামাতে কয় ওয়াক্ত? | চার ওয়াক্ত |
দাড়ি প্রসঙ্গ : | আলহামদুলিল্লাহ সুন্নাহ অনুযায়ী এক মুষ্টি দাঁড়ি রেখেছি। |
আপনি কি বিয়ের পরে স্ত্রীকে দিয়ে চাকুরি করাতে ইচ্ছুক? | জ্বি। না। |
আপনি কি বিয়ের পরে, আপনার স্ত্রীকে হিযাব নিকাব ও গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে পরিপূর্ণ পর্দার সহিত জীবন পরিচালিত করাতে আগ্রহী? | অবশ্যই। ইন শা আল্লাহ। |
কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ? | জি। আলহামদুলিল্লাহ আমি তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি। |
আপনি কি গায়রে মাহরাম মেনে চলেন? | হ্যা, আলহামদুলিল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয় |
আপনার পরিবারে গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে পরিপূর্ণ পর্দার সহিত চলার ব্যবস্থা আছে? | জি। আলহামদুলিল্লাহ আছে। |
নিজের দ্বীনি কাযক্রম সম্পর্কে লিখুন : | সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং তার একজন কৃপাধন্য বান্দা হওয়াই আমার জীবনের মূল উদ্দেশ্য । আলহামদুলিল্লাহ, হেদায়েতের মালিক আল্লাহ , ছোট থেকেই পরিবার থেকে দ্বীনের প্রতি একটা টান দেখতে পাই। আলহামদুলিল্লাহ ক্লাস ৩ তে থাকতে কোরআন পড়া শিখি এবং খতম করি। যতদূর মনে পরে, আলহামদুলিল্লাহ ১২ বা ১৩ বছর বয়স থেকেই নামাজ রোজা সহ সকল ফরজ ইবাদত সতর্কতার সাথে আদায় করার সৌভাগ্য হয়েছে । তখন থেকেই আলহামদুলিল্লাহ মসজিদে কোরআনের তাফসীর এবং হাদিস এর দারসে নিয়মিত বসা হতো। তাবলীকে সময় দেয়া হতো। ড: জাকির নায়েক এর বক্তব্য গুলো আলহামদুলিল্লাহ শুনতাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন আলেম আমাকে শুনতে নিষেধ করে এবং ঈমানী ক্ষতি হওয়ার ভয় দেখায়। তাই আস্তে আস্তে পরে আর শোনা হতো না, তবে এখন আবার শুনার চেষ্টা করি সময় পেলে। বিভিন্ন মানহাজ, তরীকা এবং দলাদলির জন্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, বয়স কম থাকার জন্য আরো বেশি বিভ্ৰান্ত হয়েছি, ফলে দ্বীনি ইলম অর্জন অনেকটা ব্যাহত হয়েছে । ২০১৭ সালে তাবলিকের বিভক্তের পর এবং নিজের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য তাবলিকের আমল গুলা থেকে কিছুটা দূরত্ব তৈরী হয়। আমি স্কুল কলেজ এ কখনো বাসার বাহিরে টয়লেট বা ওয়াশ রুম ব্যবহার করতাম না। জামাতে যেয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো যেহেতু আমাদের দেশের বেশির ভাগ মসজিদ গুলোর টয়লেট পরিষ্কার থাকে না। তাছাড়া পারবারিক কিছু সমস্যা ছিল এবং বাধা ছিল। আপন কোনো ভাই বোন না থাকার জন্য বাসা থেকে দূরে কোথাও দীর্ঘদিনের জন্য যেতে দিতো নাহ । বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেক বার জামাতে যাওয়া হয়েছে এবং ২০২৩ এর রমজানে ১ চিল্লার জামাতে সময় দেয়ার চেষ্টা করি। এমনিতে সব সময় চেষ্টা করি দ্বীনি পরিবেশ এর মধ্যে থাকার। আলেম ওলামাদের সাথেও সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা অনেক দ্বীনদার বুজুর্গ আল্লাহ ওয়ালা মানুষের সাথে পরিচয় করায় দিয়েছেন, তাদের সোহবত পাওয়ার চেষ্টা করি। অনেক আগে মনে করতাম জুব্বা পড়া পাগড়ী পড়া সব মানুষই ফেরেস্তার মতো ভালো এবং অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম। তবে আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সে ধারণা পরিবর্তন হয়েছে বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতা থেকে। তবে যারা সুন্নাহ অনুসরণ করে আল্লাহর জন্য তাদের সবার প্রতিই মহব্বত রাখি। ক্লাস ৯ এ থাকতে প্রথম মাহরাম গায়রে-মাহরামের বিষয়ে জানতে পারি মসজিদ থেকে। প্রথমে ভালো ভাবে না বুঝলেও তখন থেকে প্রাইভেট বা কোচিং এ পড়ার সময় মেয়েদের সাথে ক্লাস না করার চেষ্টা করতাম । আমার এক বন্ধুর সাথে মিলে ছেলেদের আলাদা ব্যাচ তৈরি করে ক্লাস করতাম। স্কুল কলেজও ছেলেদের ছিল। ইউনিভার্সিটিতে উঠে সে সুযোগ না পেলেও ফ্রীমিক্সিং পরিবেশ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতাম । বছরে অন্তত ২ বার বা ১ বার কোরআনের এবং নামাজ শিক্ষার ক্লাস এ অংশ গ্রহণ করার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তৌফিক আর সুযোগ করে দিলে আরবি ভাষা আর কোরআন হাদিসের উপর বিশেষ ইলিম অর্জনের ইচ্ছা আছে। আলেম উলামাদের অনুসরণ করলেও অন্ধ ভাবে কাউকে অনুসরণ করি না বরং সার্বিক ভাবে জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) কেই একমাত্র আদর্শ হিসেবে গণ্য করি এবং অনুসরণীয় মনে করি। তাবলিকের মধ্যে অভ্যান্তরিন দ্বন্দ্ব বা বিবাদ এড়িয়ে চলি এবং আগের মতো উভয় পক্ষের পরিচিত মানুষদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি, যদিও আলেমদের অনুসরণ করি। এক্ষেত্রে কোনো বাড়াবাড়ি বা দলাদলি পছন্দ করি না। এমনিতে এসব কারণে আর পেশাগত ব্যস্ততার জন্য তাবলীকে আগের মতো সময় দেয়া হয় না। তবে ইংশাআল্লাহ আল্লাহ তৌফিক দিলে একজন ভালো দ্বীনের দায়ী হওয়ার আকাঙ্খা আছে। যেহেতু বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহ চাইলে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের সঙ্গী খুঁজে পায় তাই আমি আমার নিজের সম্পর্কে ভালো মন্দ অল্পতে যতটুকু সম্ভব বলার চেষ্টা করলাম যাতে সঠিক জীবন সঙ্গী পাওয়া সহজ হয়। |
নফল আমল এর আমাল করা হয়? | আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তৌফিক দিলে অল্প হলেও করার চেষ্টা করি । |
পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম | মুফতী হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা তারিক জামিল,শায়খ আহমাদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারী, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী |
আক্বিদা /মাজহাব /মানহাজ | হানাফী মাযহাবের অনুসারী তবে অন্য সকল মাজহাব /মানহাজ এর প্রতিও সম্মান এবং ভালোবাসা রাখি। বাড়াবাড়ি এড়িয়ে চলি। |